• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে প্রেমিকার আত্মহত্যা


মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২, ০৫:৫০ পিএম
প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে প্রেমিকার আত্মহত্যা

মাগুরায় প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিকা।

মাগুরা পৌর এলাকার বরুনাতৈল গ্রামের সুমন মোল্যা (১৯) নামে এক যুবক মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রাতে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনা শোনার পর বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় পাশের বারাশিয়া গ্রামের প্রেমিকা এ্যানি খাতুনও (১৬) নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

সুমন মাগুরা পৌর এলাকার বরুনাতৈল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে মাগুরা সরকারি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

এছাড়া প্রেমিকা এ্যানি খাতুন পাশের বারাশিয়া গ্রামের হিরোক মিয়ার মেয়ে। সে মাগুরা দুধমল্লিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। 

স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান, সুমনকে মঙ্গলবার সকাল থেকে কিছুটা বিষণ্ন দেখা যাচ্ছিল। সন্ধ্যায় সে তার শয়ন কক্ষের দরজা বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করায় তার মায়ের সন্দেহ হলে আনুমানিক সাড়ে সাতটায় সুমনকে ডাকতে যায় তার মা। এ সময় অনেক ডাকাডাকির পরও তার কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে সুমনকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার মায়ের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে সুমনের গলয় রশি দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় সুমনের বন্ধু ও প্রতিবেশীরা ধারণা করেন পাশের বারাশিয়া গ্রামের তরুণী এ্যানি সঙ্গে প্রেমঘটিত বিষয়ে কয়দিন ধরে সুমনের মনমালিন্য চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমন গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকালে সুমনের আত্মহত্যার খবর শুনে নিজ ঘরে গালায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে এ্যানি।

এ্যানির প্রতিবেশীরা জানান, সকালে এ্যানির ঘরে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ দরজা বন্ধ করে থাকায় তার মা তাকে ডাকা-ডাকির পর কোনো সাড়া না পেলে দরজা ভেঙে তাকে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, দুই পরিবারের পক্ষ থেকে এ আত্মহত্যার ব্যাপারে কোনো অভিযোগ নেই। যে কারণে থানায় দুটি পৃথক অপমৃত্যুর মামলা দায়ে করা হবে।

Link copied!